নওগাঁর কে,ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৪ ও ২০১৫ ব্যাচের ছাত্রদের ব্যতিক্রমধর্মী প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরন


নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে,ডি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৪ ও ২০১৫ ব্যাচের ছাত্ররা আসন্ন ঈদে বাবা মার কাছ থেকে নতুন পোশাক না নিয়ে ওই পোশাক বাবদ অর্থ নিয়ে করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া ব্যতিক্রমধর্মী প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরন করেছেন।

করোনা প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া যে সমস্ত (মধ্যবিত্ত পরিবার) পরিবার কারও কাছে কোন কিছু চাইতে পারবে না, কোন ত্রানের তালিকায় নাম থাকবে না। খেয়ে না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। সেই সকল পরিবারের সরকার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কেহ খোজ রাখে না।

শহরের বিভিন্ন মহল্লায় তারা কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে এই সকল পরিবারের তালিকা তৈরী করে বাবা মায়ের কাছ থেকে নতুন পোশাকের অর্থ দিয়ে চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, আটা, চিনি, সেমাই, দুধ, নুডুলস,তেল, লবন, সাবান ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র ক্রয় করে। নিজেরাই প্যাকিং করে নাম দিয়েছে ঈদ উপহার। যা একটি পরিবারের ১৫ দিন চলবে। রাতের আধারে আধারে বাড়ী বাড়ী গিয়ে এই ঈদ উপহার পৌছে দেয় একদল দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা। কোন আনুষ্ঠানিকতা করে নয় ভিন্ন আঙ্গিকে এই ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরন করেন তারা।

২০১৪ ব্যাচের দলনেতা মাসনাদ কবির স্বাক্ষর ও ২০১৫ ব্যাচের দলনেতা নূর ইসান জানান, করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া নিন্মবিত্ত পরিবারের সদস্য সরকারী ও বে-সরকারী ভাবে পর্যাপ্ত ত্রান পাচ্ছে। এছাড়াও খোলা বাজারে ১০ টাকা কেজি দরে ওএমএসের চাল, টিসিবিসহ বিভিন্ন ভাবে সাহার্য্য সহযোগিতা করে সংসার চালাচ্ছে তাদের কোন অসুবিধা হচ্ছে না। অথচ মধ্যবিত্ত পরিবাররা কোন কিছুই পাচ্ছে না। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই তাদের কথা চিন্তা করে ওই ব্যাচের বন্ধুরা মিলে নতুন জামা কাপড়ের অর্থ দিয়ে মানবিক কারনে এই উদ্যোগ গ্রহন করে ঈদ উপহার নাম দিয়ে এগুলো বিতরন করেছি। ভবিষ্যতেও যে কোন দূর্যোগে অসহায়দের পাশে দাড়ানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি বলে জানান তারা।

এসময় ২০১৪ ব্যাচের আসাদুজ্জামান রিমন, তৌহিদুল তনয়, জাংসাদুর নাবিল এবং ২০১৫ রাকিবুজ্জামান উল্লাস, ব্রত খান ও রাদিত আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।