পুঠিয়ায় মাল্টা ও কমলার বাগান পরিদর্শন করলেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব


নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়ায় কমলা ও মাল্টা চাষে সফলতা পেয়েছে আহসানুল হক মাসুদ নামের এক কৃষক। এ বছর তার বাগানে এ কমলা ধরেছে। পুঠিয়ায় এবারই প্রথম এই কমলা (ম্যান্ডেলার) চাষের সু-সংবাদ পাওয়া গেল বলেও জানান কৃষি অফিস। গাছে ঝুলে থাকা দৃষ্টিনন্দন এই কমলা খেতেও বেশ সুস্বাদু। বাজারের কিনতে পাওয়া কমলার থেকে সাইজ ও স্বাদ অপেক্ষকৃত ভালো।

 

জেলার পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া এলাকার বাগান মালিক আ’লীগ নেতা আহসানুল হক মাসুদের ৬ বিঘা জমিতে মাল্টা ও কমলার বাগান পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রনালয়ের গবেষনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে মাল্টা ও কমলার বাগান পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন, পাবনা ঈশ্বরদী বিএসআর আই এর মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন, বিএসআরআই পরিচালক (গবেষনা) সমজিৎ কুমার পাল, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্ততরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, পুঠিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শামসুন নাহার ভূইয়া।

 

কৃষি মন্ত্রনালয়ের গবেষনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ বলেন, লেবু জাতীয় ফসল যেটি হচ্ছে এটি আমাদের কমার্শিয়াল একটা ফ্যাসিলিটি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। এই পরিমাণ জমি থেকে নিয়মিত শস্য যদি আমরা পেয়ে থাকি তাহলে জাতীয় ভাবে ফলের চাহিদা আমাদের মিটাবে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। যে সমস্ত ফল আমরা দেখি মালটা কমলা রঙের ফল গুলো আমাদের বাজারে থাকে এবং প্রায়ই দেখি মাল্টা জাতীয় ফল পরনির্ভরশীলতা কমানোর জন্য বিশেষ করে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আমরা যাতে রক্ষা করতে পারি আমাদের দেশের লাভবান হয়।

 

যেন আমার কৃষক ভাইয়েরা বিশেষ করে ইয়াং জেনারেশনের যারা শিক্ষিত ছেলে পেলে আছে বা আমাদের কৃষক ভাইয়েরা আছে চাকরি-বাকরি বাদ দিয়ে চাষ করছেন কৃষি কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন এবং তারা বেশি লাভবান হচ্ছে চাকরি থেকে যতটুকু না হতো তার থেকে লাভবান হচ্ছে এটা একটা গুড সাইট বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার শামসুন নাহার ভূইয়া জানান, পুঠিয়া উপজেলায় এবার প্রথমবারের মত কমলা বাগানে কমলা এসেছে।

 

একটি গাছে এক মণেও বেশি পরিমাণ কমলা ধরেছে আমরা আশা করছি এই কমলার চাষ যদি পুঠিয়া উপজেলায় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায় তাহলে যেমন ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হবে। করোনা কালিন সময়ে ঠিক তেমনি আমাদের যে উদ্যোগ তারা আছেন তারা লাভবান হবেন। আশা করছি আগামীতে এই কমলার চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।