পুরো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন সাকিব!


রাপ্র ডেস্ক: অনৈতিক প্রস্তাব আকসুকে না জানানোয় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। যে কারণে মিস করার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব ও প্রথম রাউন্ড। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী অক্টোবরের ২৯ তারিখ। তার ঠিক ১১ দিন আগে ১৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

কিন্তু বিশ্বজুড়ে এখন চলছে করোনা ভাইরাসের রাজত্ব। ভাইরাসটির আক্রমণে থমকে গেছে পুরো পৃথিবী। বন্ধ রয়েছে খেলাধুলার সব ইভেন্ট। ঘরে বন্দি মানুষ। বিশ্বে চলা এই মহামারি সাকিব এবং টাইগারভক্তদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে। কেননা পিছিয়ে যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর।

ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন বর্তমান করোনা ভাইরাস যে অবস্থায় আছে তাতে সঠিক সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে সংশয় আছে।

এবারের আসরটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার মনে করেন, আসন্ন অক্টোবর-নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি গতকাল শুক্রবার ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে রোহিত শর্মাকে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবার হবে। ১৬ দলের প্রতিটি ক্রিকেটারকে এক সঙ্গে পাওয়া কঠিন।’

তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে কি না তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আইসিসি। তবে পেছাতে পারে ক্রিকেটের সবচেয়েয় জনপ্রিয় এ আসরটি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের আসরটি এক মাস পেছালেও পুরো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে টাইগার ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব। তার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামী ২৯ অক্টোবর। এক মাস পেছালেও পুরো আসরে খেলতে পারবেন বাংলাদেশের জান বাংলাদেশের প্রাণ।

এমনিতেই বর্তমান পারফরমেন্সের বিবেচনায় বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে খুবই দুর্বল। র্যাং কিংও সে কথাই বলছে। ক্রিকেটের নতুন দল আফগানিস্তানের থেকেও নিচে বাংলাদেশ। তাই সাকিববিহীন বাংলাদেশ দল আরও যে দুর্বল হবে সে কথা বলাই যায়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ অক্টোবর জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার তথ্য গোপন করায় সাকিব আল হাসানকে ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি৷ তবে দোষ স্বীকার করায় এক বছর স্থাগিত করে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব৷