রাজশাহীতে আরো চারজন করোনায় আক্রান্ত


রাপ্র ডেস্ক: রাজশাহীতে আরো চারজনের নমুনায় করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এই নমুনাগুলো ঢাকাতে পরীক্ষা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এ নিয়ে রাজশাহীতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩-এ।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচলক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, রাজশাহী থেকে বেশ কিছু নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। সেগুলো মঙ্গলবার পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্য রাজশাহীর চারজনের নমুনায় পজেটিভ এসেছে বলে ফোন করে জানানো হয়েছে। বিস্তারিত সিভিল সার্জন জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক জানান, ঢাকায় পাঠানো নমুনা থেকে চারজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে মোহনপুরে ২ জন, তানোরে ১ জন ও পবায় ১ জন। পবায় করোনায় আক্রান্ত একজন স্বাস্থ্যকর্মী বলে জানা গেছে।

এদিকে, মঙ্গলবার রাজশাহী ল্যাবে একজনের নমুনায় করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। করোনায় আক্রান্ত ওই রোগীর বাড়ি নওগাঁ জেলা সাপাহার উপজেলার গুয়ালা ইউনিয়নের তামাসপুর গ্রামে। তিনি সম্প্রতি ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে নওগাঁ জেলায় দুজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. বুলবুল হাসান জানান, মঙ্গলবার রামেক ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৭৫ জনের ফলাফল এসেছে। যার মধ্যে একজনের নমুনায় পজেটিভ আসে। বাকি ১৮টির কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। নমুনার গুণাগুণ নষ্ট হওয়ায় এগুলোর ফলাফল পাওয়া যায়নি। এগুলো নমুনা পুনরায় সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। এ দিন এ ল্যাবে আরও ৬৩ নমুনা এসেছে। এর মধ্যে মোহনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৮ জন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীর নমুনা রয়েছে।

ডা. বুলবুল বলেন, আগের দিন সোমবার ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তবে পরীক্ষার পর সাতটি ফলাফল বাতিল করা হয়েছে। এ দিন কারো নমুনা পজেটিভ
পাওয়া যায়নি। তবে এ আগের তিন রাজশাহী মোহনপুরের এক বৃদ্ধের নমুনা পজেটিভ পাওয়া যায়।

রাজশাহীতে গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগী শনাক্ত হয়। সর্বশেষ গত ২৬ এপ্রিল একজন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর তা বেড়ে দাঁড়ায় নয়জনে। আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও চারজন পুরুষ।

আক্রান্তদের মধ্যে পুঠিয়া উপজেলায় পাঁচজন, বাগমারায় একজন, মোহনপুর দুজন ও বাঘা উপজেলায় একজন। এদের মধ্যে রোববার সকালে বাঘায় একজন মারা যান। আক্রান্ত আটজন নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের সাতজনই ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে এসেছেন।