রাজশাহীর করোনা ল্যাবে দুই শিফটে পরীক্ষা শুরু


নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে করোনা শনাক্তকরণের ল্যাবে দুই শিফটে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ভাইরোলজি বিভাগে গত ১ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। এর এক মাস পাঁচ দিন পর সেখানে দুই শিফটে নমুনা পরীক্ষা শুরু হলো। এখন থেকে এক দিনেই ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে। এতদিন এক দিনে নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা ছিলো ৯৪টি।

রামেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. বুলবুল হাসান জানান, রাজশাহী বিভাগের অন্তত পাঁচটি জেলা থেকে তাদের এখানে নমুনা আসে। কিন্তু সক্ষমতা ছিলো না বলে সেগুলো পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছিল না। আর ৪৮ ঘণ্টা পার হলে নমুনার গুণাগুণও থাকে না। এ অবস্থায় ৯৪টির বেশি নমুনা হলে সেগুলো ঢাকায় পাঠাতে হতো। এতে রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছিল।

এ অবস্থায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা তাদের ল্যাবের সক্ষমতা বৃদ্ধির অনুরোধ জানান। তাদের কথায় সাড়া দিয়ে ল্যাবে এক শিফটের জায়গায় দুই শিফট চালু করা হয়েছে। রোববার প্রথমবারের মতো রামেকের এই ল্যাবে দুই শিফটে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

ডা. বুলবুল হাসান জানান, তারা সকাল ৯টায় কাজ শুরু করেছেন। রাত ৮টার মধ্যে দুই শিফটের পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। দুই শিফটে ১৮৮টিই নমুনা পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে। তবে ত্রুটি থাকায় ৩৭টি নমুনার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। বাকি ১৫১টি নমুনার মধ্যে শুধু একটি রিপোর্ট পজিটিভ। করোনাভাইরাস সংক্রমিত এই কোভিড-১৯ রোগীর বাড়ি পাবনা।

ডা. বুলবুল আরও জানান, রামেকের ল্যাবে এখন দুই শিফটে পরীক্ষা শুরু হলেও সব নমুনা পরীক্ষা করা যাবে না। এখনও অনেক নমুনা থেকে যাবে। সেটা ঢাকায় পাঠানোর প্রয়োজন হবে।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরেকটি পিসিআর মেশিন দিয়ে করোনা ল্যাব স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত এটি চালু করা প্রয়োজন বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

রাজশাহীতে গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর রোববার পর্যন্ত ১৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তার বাড়ি বাঘা উপজেলায়। মৃত্যুর আগে তার করোনা পজিটিভ আসে। কিন্তু মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। তবে করোনাভাইরাসের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে রেকর্ড করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।