রাজশাহী কলেজে সাংবাদিক হামলার মূলহোতাদের বাদ দিয়েই আটজনকে ‘শাস্তি’ দিল ছাত্রলীগ


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাজশাহী কলেজে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় আটজনকে অব্যাহতি দিয়েছে ছাত্রলীগ। শনিবার বিকালে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনের বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে।

যে আটজনকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়েছে তারা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদ রানা, সাহেদুজ্জামান বাপ্পী, সাজেদুর রহমান সিজার, মেহেদী হাসান, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, শরিফ আহমেদ আকাশ, মারুফ হোসেন ও রাকিব ইকবাল। তবে সাঈদ হাসান আশিক, আশফিকুর রহমান সজিব, আশিকুর রহমান ও আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরা সবাই কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাফরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু সাইদ রনি জানিয়েছেন, হামলার সময় ছাত্রলীগের এই চার কর্মীও উপস্থিত ছিলেন। অথচ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফর বলেন, ‘আমরা একটা তদন্ত কমিটি করেছিলাম। তদন্ত কমিটি যাদের নাম দিয়েছে, তাদের স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

ছাত্রলীগের গঠন করা তদন্ত কমিটি অবশ্য হামলার শিকার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাফর বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না। ঘটনার সময় অধ্যক্ষ নিজেই উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে তো কথা হয়েছে। তিনি অন্য কারও নাম জানাননি।’

নিয়ম-বহির্ভূতভাবে পরীক্ষা দিতে না দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগে ভাঙচুর শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ছবি তুলতে গেলে রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ রনি ও সংগঠনের সদস্য আবদুল আলীমকে মারধর করেন তাঁরা। তাঁরা সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনও কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। পরে আহত দুই সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ অভিযোগে ‘ছাড় পাওয়া’ ওই ছাত্রলীগ কর্মীদের নাম রয়েছে। অভিযোগটি পুলিশ এখনও মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি। প্রাথমিক তদন্ত চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।