রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদেরকে একত্রিত করতে হলে হলে মাইকিং


রাবি প্রতিনিধি :  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য  বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে জড়ো করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় হলে হলে মাইকিং করতেও দেখা যায় তাদেরকে।
রোববার (১২ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলের উদ্দেশ্যে এ মিছিল শুরু করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে মতিহার হল হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হল, নবাব আব্দুল লতিফ হল, মাদারবক্স হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, হবিবুর রহমান হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক হলে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার আহবান জানান তারা।
এদিকে বিভিন্ন হল থেকে মাইকিং করে শিক্ষার্থীদেরকে আন্দোলনে যোগদান করতে করতেও দেখা যায়।
আমির আলি হলের মসজিদের মাইক দিয়ে শিক্ষার্থীরা বলছেন, একটি জরুরি এলার্ম। আমার ভাইদের রক্তে রঞ্জিত ক্যাম্পাস। আপনারা হলে বসে না থেকে আন্দোলন যোগদান করুন। এখন আর কোনো দল নেই আমরা সবাই রাবিয়ান। দ্রুত হল থেকে বের হয়ে প্রশাসন ভবন যাওয়ার আহবান জানান শিক্ষার্থীরা
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় আগামী ১২ ও ১৩ মার্চ সকল ক্লাস-পরিক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১১ মার্চ (শনিবার) রাতে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
বাসের ভাড়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অন্তত ২৫-৩০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় অন্তত ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে রামেকে ভর্তি আছেন।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করেন। মহাসড়কের দুপাশ থেকে স্থানীয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলতে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে একটি মোহাম্মদ নামের বাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। যাত্রাপথে ভাড়া নিয়ে তার সঙ্গে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারের বাগবিতণ্ডা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে বাস থেকে কাউন্টারে এসে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।