অজয় ঘোষ: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেট ও ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রনয়ণ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে নগর ভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আয়ের নতুন নতুন খাত সৃষ্টির মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সেবা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। আয়ের খাতও সীমিত। তাই নতুন নতুন খাত সৃষ্টির মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধি করতে হবে। এবার প্রায় ১০৩ কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে দায়িত্ব নিয়ে পর্যায়ক্রমে ঋণ পরিশোধ করে বর্তমানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে।
মেয়র আরো বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্সসহ বর্তমান আয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আয়ের নতুন খাত সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষা নগরী রাজশাহীতে সিটি ইউনিভাসিটি চালু করা হবে। খুব শীঘ্রই স্বপ্নচুড়াসহ অন্যান্য মার্কেটসমূহ হতে আয় শুরু হবে। নতুন আবাসিক এলাকা স্থাপন, সিএনজি স্টেশন স্থাপনসহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে আয় বৃদ্ধি করা হবে। প্রতিষ্ঠানটি যেন বিগত সময়ের মতো কোনভাবেই আর দেউলিয়ার প্রতিষ্ঠানে পরিণত না হয় সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
সভায় রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-৩ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলের কাউন্সিলর তাহেরা বেগম মিলি, সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযীম, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সোবহান লিটন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্লা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সমর কুমার পাল, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আঞ্জুমান আরা বেগম, নির্বাহী প্রকৌশলী যান্ত্রিক রেয়াজাত হোসেন রিটু, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলার, রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নুর-ই-সাঈদ, ভ্যাটেনিরারী সার্জন ডা. ফরহাদ উদ্দীন, গবেষণা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নিজামুল হোদাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।