সংখ্যালঘুর দোকান ভাংচুর মারপিট লুটপাট যুবলীগ নেতা তারেকের বিরুদ্ধে মামলা


তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী   মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউপির জীবন কুমার সাহা নামের এক সংখ্যালঘুর দোকান দেশীয় অস্ত্র নিয়ে  ভাংচুর লুটপাট ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। বেধড়ক মারপিটে দোকান মালিক জীবন কুমার সাহা মারাত্মক ভাবে আহত হন। এঘটনায় তিনি বাদি হয়ে তারেক রহমান ও একরামুল সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩/৪ জনের নামে মান্দা থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালের দিকে ভাঁরশো ইউপির দেলুয়া বাড়ি বাজারে জীবনের দোকানে ঘটে এসব ঘটনা।
এদিকে মামলার খবর জানতে পেরে বাদিকে প্রাননাশের হুমকিসহ গুম করে ফেলার হুশিয়ারি দিয়েছেন আসামীরা। এতে করে বাদী সংখ্যালঘুসহ তার পরিবার চরম আতংকে দিন পার করছেন। ফলে এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে সংংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলা আশংকা করছেন  বাদির পরিবার। কারন মামলার ৮ দিন অতিবাহিত হলেও আসামীদের গ্রেফতার করা হয়নি।
মামলার বাদি জীবন জানান, মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন (ইউপির) দেলুয়াবাড়ি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন জায়গায় রাজশাহী শহরের ঠিকাদার রশিদ ১২ শতাংশ জমি কিনে মার্কেট করেন। ওই মার্কেটে আমি ভাড়া হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু একই মার্কেটে ভারশোঁ ইউপি যুবলীগের সাধারন সম্পাদক তারেক দোকাব করে ও আমার কাছে ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এমনকি তারেক নাকি তার কর্মচারীর মাধ্যমে জায়গাটি কিনেছেন। রশিদও কিনেছেন। বরং রশিদ আগে কিনেছেন। তিনি আরো জানান, খতিয়ানের মালিকরা বিক্রি করেন অনয ব্যক্তির কাছে, এভাবে তিন হাত বদলের পর রশিদ কিনেন। এবং খারিজ করেছেন।
ঠিকাদার রশিদ জানান, মুল মালিকের কাছ থেকে জমি আমি ক্রুয় করিনি। আমি চার নম্বর ক্রেতা। যদি জালিয়াতি হয় তাহলে অন্যরা করেছে, আর এসব প্রমান করতে হলে আদালতে যেতে হবে।
 মামলার এজহারে উল্লেখ,, চলতি মাসের ৫ মার্চ সকালের দিকে দেলুয়াবাড়ি বাজারে জীবনের দোকানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন যুবলীগ নেতা তারেক। হামলার সময় ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য ব্যাগে রাখা ১৩ লাখ টাকাও নিয়ে নেয় তারেক। দোকানের সাটার বন্ধ করে জীবন ও তার ভাই পেটাই জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এঘনটায় ওই দিন মামলা থানায় মামলা দায়ের হয়। কিন্তু এত দিনেও কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় চরম আতংকে সংখ্যালঘু জীবনের পরিবার।
তবে যুবলীগ নেতা তারেক টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, হট্রগোল হয়েছে,  জায়গাটি আমার দোকানের কর্মচারী কিনেছেন, কিন্তু দখন ছাড়ছে না জীবন। জায়গা অনেক আগে কিনেছে রশিদ তার দলিলকি বাতিল হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, খারিজ বাতিলের আবেদন করা হয়েছে, দলিল জাল প্রমান না হওয়া পর্যন্ত কিভাবে আপনি দাবি করেন প্রশ্ন করা হলে কোন সদ উত্তর দিতে পারেন নি যুবলীগের এই নেতা।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নুরে এ আলম সিদ্দিকী জানান, আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে।