সাপাহার থানা জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকীদাতা মিনির সহযোগী গলাকাটি গ্রেফতার


মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: সাপাহার থানাকে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকী দাতা দস্যুরাণী তৈবাতুন নেসা মিনির অপর সহযোগী ও ভুমি দখলদার বাহিনীর অন্যতম সদস্য সন্ত্রাসী রাণী আকলিমা খাতুন (গলাকাটি) (৫২) কে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দিবগত রাত ১০টার দিকে আত্মগোপন করে থাকা অবস্থায় উপজেলার দীঘির হাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। 

জানা গেছে,ওই এলাকার দীঘির হাট মিরাপাড়া মৌজায় জাল দলীলকারী জৈনক রিয়াজ আহম্মেদ এর ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে জমি জবর দখল করার কাজে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল ওই দস্যুরাণী মিনি ও গলাকাটি আকলিমা। তারা এলাকায় এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে জৈনক মোকাদ্দেস আলীর ৪৩বছর ধরে ভোগদখল করে আসা সম্পত্তি ভুমিদস্যু ও জাল দলীলকারী রিয়াজ এর পক্ষ নিয়ে জমির উপর ঘর নির্মান করে দখলের চেষ্টা করছিল। এমনি অবস্থায় গত বৃহস্পতিবারে উক্ত স্থানে এক সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থল হতে ভুমিদস্যু রিয়াজ ও তার ছেলেকে থানায় ধরে নিয়ে আসে।

যার ফলে দস্যুরাণী তৈবাতুন নেসা মিনি ওসিকে মোবাইল ফোনে থানা জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকী প্রদর্শন করে। এর পর রাতেই পুলিশ হুমকী প্রদর্শনকারী মিনেকে গ্রেফতার করলে গলাকাটি আকলিমা পলাতক থাকে। এবিষয়ে থানায় ২১জনকে আসামী করে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয় এবং জাল দলীল সৃষ্টিকারী রিয়াজ, তার ছেলে ও মিনিকে পুলিশ নওগাঁ কোর্টে চালান করে। এর পর শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে অপর সন্ত্রাসী রাণী গলাকাটি আকলিমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই জালদলীল এর সম্পত্তি সঠিক এবং এটি উদ্ধার করা সম্ভব বলে ভুমিদস্যুকে বুদ্ধি ও যুক্তিদাতা হিসেবে নেপথ্যে কাজ করে আসলিছ উপজেলার রায়হান মাস্টার নামের এক বুদ্ধিজিবী বলে ভুমিদস্যু রিয়াজ ও পুলিশ জানিয়েছেন। 

এছাড়া সম্পত্তিটি দখল করতে পারলে রিয়াজ বুদ্ধিদাতা রায়হান মাস্টাকে কয়েক লক্ষ টাকা এবং মিনিকে ২শতক ও গলাকাটিকে ২শতক জায়গা ফ্রিতে রেজিস্ট্রেরী করে দিবেন বলে অঙ্গিকার করেছিল বলেও তিনি জানিয়েছেন। এলাকায় এই নারী সন্ত্রাসী ও রায়হান মাস্টারের মত বুদ্ধিজিবীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলে এলাকায় শান্তি সৃংখলা বিরাজ করবে বলে পুলিশ ও এলাকাবাসী মনে করেন।