সিংড়ায় গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা শালিসে রফাদফাকারী সেই আ’লীগ নেতা আটক


নাটোর প্রতিনিধি: সিংড়ায় এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাকে গ্রাম্য শালিসে ধামাচাপা দেওয়ার মূলহোতা স্থানীয় আ’লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেনকে আটক করেছে সিংড়া থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার সিংড়া বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। আটক তোফাজ্জল হোসেন উপজেলার চামারী ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গুটিয়া গ্রামের আঃ রহিমের ছেলে। সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মে রাত ৮টায় উপজেলার চামারী ইউনিয়নের গোটিয়া গ্রামের এক গৃহবধূ কে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে একই গ্রামের জিহাদ আলী ও রুবেল হোসেন।
পরের দিন রাতে (১২ মে) গ্রাম্য শালিসে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ৫০টা করে জুতার বাড়ি দিয়ে রফাদফা করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন ও ৭নম্বর ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন। এতে এলাকায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
পরে ১৫ মে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩; জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা ও সহায়তা করা এবং যোগসাজসে তথ্য গোপন করার অপরাধে ৪জনকে আসামী করে সিংড়া থানায় মামলা করেন গৃহবধূ মোছা: ছাবিয়া খাতুন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘ দিন থেকে অর্থের বিনিময়ে এলাকার বিভিন্ন অপকর্ম রফাদফা করে আসছেন আ’লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন। আর তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
৫নম্বর চামারী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অপরাধে আটক আ’লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী জানান, গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা ও সহায়তা করার অপরাধে এর আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। আজ একই অভিযুক্ত আ’লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেনকেও আটক করা হয়েছে। আর অন্যান্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।