থাইল্যান্ডে ফিশিং স্কুল


জেলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে থাইল্যান্ডে একদল জেলে। শিশু ও যুবকদের মাছ ধরা পেশা শেখানোর জন্য মুয়াং অঞ্চলের কিছু জেলে এ বিদ্যালয় চালু করে। থাইল্যান্ডের পাঠ্যপুস্তক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালিকাভুক্ত নয় এমন একটি পেশা খুঁজে বের করার লক্ষ্যে নক কালা নামক এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে জেলেরা। সংবাদ সূত্র: A24 News Agency

স্থানীয় তরুনরা মাছ ধরাকে স্বাধীন ব্যবসা বা শিল্প খাতের বিকল্প পেশা হিসেবে নিতে চাইলে এখানে এসে সরাসরি হাতে কলমে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিখতে পারবে, পাশাপাশি হবে সম্প্রদায়টির মাছ ধরা পেশার ঐতিহ্য রক্ষা।

স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা জনাব ব্যানজার্ড উদোমসামুথিরান বলেছেন যে নক কালা স্কুল এমন একটি গল্প যা পাঠ্য বইয়ে নেই। আপনাকে এখানে এসে এ অভিজ্ঞতা নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, ”কাজ থেকে সঞ্চিত বিশুদ্ধ অভিজ্ঞতা আপনি এখানে পাবেন এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তা দিয়ে যেতে পারবেন। আমাদের বিদ্যালয়ের এ গল্পটি একটি ছোট উপাখ্যানের মতো, যা গতানুগতিক বিদ্যালয়ের বাইরে এ জেলে সম্প্রদায়ের হৃদয় থেকে তৈরি।”

এছাড়াও ব্যানজার্ড উদোমসামুথিরান স্কুলের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানান, ”আমার সাথে ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী ভাই ও বোন এখানে কাজ করে। আমরা প্রত্যেককে সকালে পাঠদান করি সমুদ্র ও উপকূল সম্পর্কে। বিকালে আমরা তাদের সমুদ্রে মাছ ধরা শিখাতে নিয়ে যাই। এর বিনিময়ে আমরা কাউকে কোন অর্থ দিই না, আবার টিউশন ফি হিসেবেও কোন অর্থ নিই না। তবে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে আমরা নিই, এটা আমাদের পরবর্তী কার্যক্রমে সাহায্য করবে।”

এখানে যারা পড়তে আসে তার বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানান উদোমসামুথিরান। যারা এ পেশায় থাকতে চায় এবং সমুদ্রে এ অভিজ্ঞতা নিতে চায় তারাই মূলত এখানে আসে, তিনি যোগ করেন।

এদিকে, স্থানীয় মেরিন ও কোস্টাল রিসোর্সের পরিচালক পর্নথেপ থংডি নক কালা বিদ্যালয়কে তাদের সহযোগিতা দেবার কথা বলেন। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ”এখানে অনেক সামুদ্রিক সম্পদ রয়েছে। আমাদের পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে যেন এগুলো রক্ষা করা যায়। তাহলেই সবাই উপকৃত হবে। স্কুলের কার্যক্রমের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সামুদ্রিক সম্পদের ক্ষতি না হয়। ”

স্থানীয় ব্যাং পু মাই গ্রামের এক অধিবাসী পর্নথেপ উদোমসামুথিরান বিদ্যালয়টি সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন তুলে ধরেন, ”আমি আজ জেলেদের সাথে যোগদান করেছি। এটা আসলে চমৎকার অভিজ্ঞতা। এখান থেকে সবাই উপকৃত হচ্ছে। সমুদ্র পাড়ের জেলেরা এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হতে পারছে। আমি আশাবাদী।”