স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আবারও কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে সরকার : ওবায়দুল কাদের


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘লকডাউনের পর গণপরিবহণ চলাচলে সুযোগ দেওয়া হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে সরকার আবারও কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে।’ শপিংমল, দোকানপাট ও বাজারগুলোতে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানান তিনি।

রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত খাদ্য ও সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সেতুমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও নগদ সাহায্য নিয়ে যারা অনিয়ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ত্রাণ ও নগদ অর্থ যেন বেহাতে না যায়, সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে এবং যথাযথ জায়গায় যেন ত্রাণ পৌঁছায় সেদিকেও নজর দিতে হবে।’ তিনি ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা উচিত উল্লেখ করে বলেন, ‘এরাই সাহায্য পাওয়ার যোগ্য।’

 

বরিশাল বিভাগে কলেরার প্রাদুর্ভাব প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, বরিশাল বিভাগে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বরগুনা জেলার জন্য দুই হাজার ওরস্যালাইন ও শরীরে পুশ করার জন্য ২০০ স্যালাইন এবং বরিশাল বিভাগের অন্যান্য জেলার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে সাত হাজার ওরস্যালাইন ও ৫০০ পুশ করার স্যালাইন বিতরণ করা হবে।

 

সেতুমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করে বলেন, ‘মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে সংকট মোকাবিলা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাবে অদম্য বাংলাদেশ।’

 

করোনাভাইরাসের টিকা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রথম ডোজের মতো দ্বিতীয় ডোজের টিকাও যথাসময়ে জনগণ গ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। যারা সংশয়বাদী, তারা সবকিছুতেই অনিশ্চয়তা খুঁজে বেড়ায়, ছড়িয়ে দেয় বিভ্রান্তি। এ বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার বিএনপির নতুন কোনো রোগ নয়। তারা অনেক আগে থেকেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত।’

 

বিএনপির নেতারা প্রতিদিনই সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন উল্লেখ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘লকডাউন নিয়ে বিএনপির মহাসচিব যতটুকু গবেষণা করেছেন, তা বন্ধ করে জনগণকে সচেতন করার জন্য একটি বক্তব্য রাখলে করোনার সংক্রমণ রোধে সামান্যতম হলেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখত। বিএনপি প্রথমে বলেছিল, লকডাউন চাই। পরে বলে লকডাউন সমাধান নয়। আবার বলছে, লকডাউন পরিকল্পিত নয়। কিন্তু, এখন বলছে, লকডাউনের নামে নেতাকর্মীদের অত্যাচার করছে সরকার। ক্ষণে ক্ষণে অ্যামিবার মতো অবয়ব পরিবর্তণ ও ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে বিভ্রান্তি তৈরি করা বিএনপির লক্ষ্য।’

 

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির দ্বিচারিতা রাজনীতিতে জনগণ এখন বিভ্রান্ত হয় না। বরং তারা নিজেরাই বিভ্রান্ত হয়।’

 

ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।