ইউরোএশিয়ায় চীনের বিনিয়োগ- সুবিধার বদলে বোঝা


চীনের আঞ্চলিক ও পরিবহন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত আছে ষোলটি দেশ। কিন্তু চীনের এসব বিনিয়োগ সুবিধার চেয়ে বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে শেগুলোর জন্য। চীন এই দেশগুলোতে ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে ট্রেন, রাস্তা, শক্তি এবং পারমানবিক বিদুৎ খাতের সুবিধা পেতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। সংবাদ সূত্র: A24 News Agency

মধ্য এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ এবং মধ্য ইউরোপ সবই সমুদ্র থেকে বেশ দূরে অবস্থিত হওয়ার ফলে চীনের সক্সেগ রেল ও সড়কপথ তৈরীই এই বিনিয়োগের প্রাথমিক কারণ। দুর্বল সম্ভাবনা ও সমুদ্র বন্দর না থাকা এই দেশগুলোর জন্য চীনের বিনিয়োগ বেশ সম্ভাবনাময় বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

অর্থনীতিবিদ টি. এরডেনেবিলেগ বলেন যে এই মূহুর্তে ১৬টি দেশ চীনের ’রিজিওনাল এবং রোড নেটওয়ার্ক’ এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। ২০২১ এর মাঝামাঝি থেকে চীন রেলপথ, সড়ক, শক্তি ও পারমানবিক বিদুৎখাতে বিনিয়োগ করছে। মঙ্গোলিয়া, কিরগিজস্তান, মন্টিনিগ্রো এবং তাজিকিস্তান সহ ১৬টি দেশে চীন উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে কিন্তু দুর্বল শাসন ব্যবস্থার কারণে এখনও বিনিয়োগগুলোর সম্পূর্ণ সুবিধা নিতে পারেনি।

এছাড়া, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য মঙ্গোলিয়াকে সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পুর্নগঠন প্যাকেজের অনুমোদন দেয়। যাতে বলা হয় তাদের অন্যান্য অংশীদারী ব্যাংক যেমন; এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক ও বিশ^ব্যাংক আরো তিন বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অনুমোদন দিবে।

কিন্তু মঙ্গোলিয়া বিশেষত করোনা -১৯ এর প্রাদুর্ভাবের পর একটি ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে পরিনত হয়। যার কারণ এর সম্পদ নির্ভর অর্থনীতি ও ভেঙ্গে যাওয়া শাসনব্যবস্থা। মঙ্গোলিয়ার মত ঋণে জর্জরিত এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোও দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক দূর্দশার কারণে এসব বিনিয়োগের সুবিধা নিতে পারছে না। ফলে চীনা বিনিয়োগ তাদের জন্য ঋণের বোঝায় পরিনত হয়েছে।

টি. এরডেনেবিলেগ আরো বলেন, “চীনা আঞ্চলিক ও সড়ক বিভাগের কাছ থেকে মঙ্গোলিয়া, কিরগিজস্তান, মন্টিনিগ্রো এবং তাজিকিস্তান উল্লেখযোগ্য সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু এই চারটি দেশ ঋণগ্রস্ত হওয়ায় এবং বাজে প্রশাসন ও কোভিড -১৯ এর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ফলে তাদের ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম। এর ফলে, চীন এই বিনিয়োগের সুবিধা পাওয়া কঠিন বলে মনে করেছে।”