পথের খাবার ঘরে তৈরি করুন


রাপ্র ডেস্ক: করোনা মোকাবেলায় সবাই ঘরবন্দি। ঘর থেকে বের হতে মানা, ফলে ঘরেই কাটছে সবকিছু। এমন পরিস্থিতিতে মিস করছেন পাড়ার-মহল্লার কিছু খাবার। কিন্তু এসব খাবার ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন।

চটপটি
উপকরণ: মটর ২ কাপ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, ডিম ৩টি, চিলি ফ্ল্যাকস ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচকুচি ১ টেবিল চামচ, বিটলবণ ১ চা-চামচ, ভাজা জিরাগুঁড়া ২ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, তেঁতুলের পানি স্বাদমতো, ফুচকা ২০-২৫টি (পরিমাণমতো), কাঁচা মরিচকুচি ২ চা-চামচ।

প্রণালি: মটর হলুদ ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে কাঁচা মরিচকুচি, বিটলবণ, পেঁয়াজকুচি, ধনেপাতাকুচি, সেদ্ধ ডিমের কুচি, চিলি ফ্ল্যাকস, ভাজা জিরা, তেঁতুলের পানি, ভাঙা ফুচকা দিয়ে পরিবেশন করুন। তেতুলের পানির জন্য তেঁতুলের ক্বাথ ২ টেবিল চামচ, আখের গুড় ১ টেবিল চামচ, চাট মসলা ১ চা-চামচ, বিটলবণ আধা চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, টালা জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, ১ কাপ পানি দিয়ে চুলায় জ্বাল দিয়ে বলক এলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন।

প্যাঁচানো আলু
উপকরণ: বড় আলু ৬টি, বিটলবণ ১ চা-চামচ, শাশলিক কাঠি ৬টি, তেল ভাজার জন্য, টমেটো সস (পরিবেশনের জন্য)।

মিশ্রণের জন্য: ময়দা ১ কাপ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, পানি পোনে ১ কাপ।

প্রণালি: আলু পরিষ্কার করে দুই পাশে কেটে শাশলিক কাঠিতে ঢুকিয়ে নিন। কাঠি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আলু পাতলা করে কাটুন। যেন মোটা না হয়। মিশ্রণে গড়িয়ে ডুবো তেলে বাদামি করে ভাজুন। এর ওপর বিটলবণ ও টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

ফুচকা
উপকরণ: ময়দা আধা কাপ, সুজি ১ কাপ, তালমাখানা ১ চা-চামচ, তেল ১ চা-চামচ, পানি পরিমাণমতো, মটর ১ কাপ, সেদ্ধ আলু ২টি, বিটলবণ ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচের কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ১ টেবিল চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ, পরিবেশনের জন্য সেদ্ধ ডিম, পেঁয়াজকুচি, শসাকুচি, তেঁতুলের পানি (তেঁতুলের পিউরি, চিনি, জিরাগুঁড়া, বিটলবণ, চিলি, ফ্ল্যাকসের মিশ্রণ), বিটলবণ, চিলি ফ্ল্যাকস।

প্রণালি: ময়দা, সুজি, তালমাখনা, সামান্য তেল ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে ডো তৈরি করুন। ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। পাতলা করে রুটি বেলে নিতে হবে। এবার গোল কুকিজ কাটার দিয়ে কেটে নিন। ডুবো তেলে ভেজে নিন। সেদ্ধ আলু চটকে নিন। সেদ্ধ মটরের সঙ্গে আলু, বিটলবণ, কাঁচা মরিচকুচি, জিরাগুঁড়া মিশিয়ে ফুচকার ভেতর ঢুকিয়ে নিন। ফুচকার ওপর পেঁয়াজকুচি, শসাকুচি, বিটলবণ, চিলি ফ্ল্যাকস, সেদ্ধ ডিমের কুচি ও তেঁতুলের পানি দিয়ে পরিবেশন করুন।

ভেলপুরি
উপকরণ: ময়দা ১ কাপ, সুজি আধা কাপ, তেল ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, সেদ্ধ মটর ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচকুচি ১ চা-চামচ, গাজরকুচি ১ টেবিল চামচ, চিলি ফ্যাক্স ১ টেবিল চামচ, বিট লবণ ১ চা-চামচ, ধনেপাতাকুচি ১ টেবিল চামচ, তেঁতুলের টক ১ চা-চামচ।

প্রণালি: ময়দার সঙ্গে সুজি, লবণ ও তেল মেখে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ডো তৈরি করুন। ১০ মিনিট পর ছোট ছোট রুটি বেলে ডুবো তেলে ভেজে নিন। মটর সামান্য লবণ দিয়ে ভালোভাবে সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ মটরের সঙ্গে তেঁতুলের টক, কাঁচা মরিচকুচি, বিটলবণ মেশান। ভাজা পুরির ভেতর সেদ্ধ মটর দিয়ে এর ওপর টমেটোকুচি, পেঁয়াজকুচি, ধনেপাতাকুচি, কাঁচা মরিচকুচি, শসাকুচি, চিলি ফ্ল্যাকস, বিটলবণ দিয়ে পরিবেশন করুন।

চাপ রোল
উপকরণ: গরুর ভূড়ি ১ কেজি, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা–ধনের গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচকুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ।

রোলের জন্য উপকরণ: ময়দা দেড় কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, তেল ১ চা-চামচ, কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো।

পরিবেশনের জন্য: টক দই, শসাকুচি, গাজরকুচি।

প্রণালি: ময়দার সঙ্গে লবণ, তেল , কুসুম গরম পানি দিয়ে ডো তৈরি করুন। পাতলা রুটি বেলে তেলে ভেজে নিন। গরুর ভূড়ি (অনেকে বটও বলেন) ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। ছোট ছোট টুকরা করে সেদ্ধ করে নিন। তেলে সব মসলা, পেঁয়াজকুচি, সেদ্ধ ভট ভাজুন। গরমমসলা ও জিরাগুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন। ভাজা পরোটার ভেতর ফেটানো টক দই, ভাজা ভট, গাজর ও শসাকুচি দিয়ে রোল বানিয়ে পরিবেশন করুন।

কলিজার ঝালমুড়ি
উপকরণ: মুরগির গিলা-কলিজা ২৫০ গ্রাম, আদা, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, গরমমসলা, জিরা, ধনেগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ।

পরিবেশনের জন্য: মুড়ি ২৫০ গ্রাম, কাঁচা মরিচকুচি ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ চা-চামচ, ধনেপাতার কুচি ১ টেবিল চামচ, আদাকুচি ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ চা-চামচ, লেবুর কুচি আধা চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, টমেটোকুচি ১ টেবিল চামচ, ভাজা কলিজা– গিলা ২০০ গ্রাম।

প্রণালি: মুরগির কলিজা ছোট ছোট টুকরা করে নিন। তেলে পেঁয়াজকুচি ও সব মসলা কষিয়ে কলিজা দিয়ে ভাজুন। কলিজা সেদ্ধ হয়ে রান্না হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। মুড়ির সঙ্গে ভাজা কলিজা ও বাকি সব উপকরণ মেখে পরিবেশন করুন।