রাণীনগর-আবাদপুকুর ২২কিঃ মিটার নির্মানাধীন রাস্তা এখন মরন ফাঁদ। জনদূর্ভোগ চরমে


রায়হান আলম, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত ও আধুনিকায়ন কাজ চলছে গতিহীন ভাবে। ফলে এলাকার কয়েক শত গ্রামের লাখো মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে। অনেক জায়গায় খোয়া বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভরাট করার জন্য বৃষ্টির পানিতে কাদা মাটি উঠে গিয়ে রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় হাটু পানি জমা হয়েছে।এছাড়াও ব্রীজ-কালর্ভাট তৈরী করার জন্য যে পার্ম্ব রাস্তা করা হয়েছে সেটা একে বারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে।

জানা গেছে, রাণীনগর সদর জিরো পয়েন্ট থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা এলজিইডি থেকে দীর্ঘ দিন আগে পাকা করণ করা হয়। নওগাঁ থেকে রাণীনগর হয়ে সিংড়ার কালীগঞ্জ বাজারের মধ্য দিয়ে নাটোরের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষে এলজিইডি থেকে সড়ক ও জনপদ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়।

এরপর রাস্তাটি প্রসস্ত, আধুনিকায়ন, মজবুত এবং ২৬টি কালভার্ট, ৪টি সেতু নির্মান করতে মোট ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টেন্ডার দেয়া হয় । টেন্ডারের পর ২০১৯ সালের পর থেকে শুধুমাত্র সেতু ও কালভার্টের কাজ শুরু করা হলেও এখন পর্যন্ত এসব কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া ২২ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে রাণীনগর থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত মাত্র মাঝে মাঝে কিছু অংশ বাদ রেখে রাস্তার পাকা অংশ তুলে খোয়া বালু দিয়ে ভরাট করলেও অনেক জায়গায় খোয়া বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভরাট করার জন্য একটু বৃষ্টির পানিতে কাদা মাটি উঠে যেয়ে অধিকাংশ জায়গায় হাটু পানি জমা হয়েছে ফলে রাণীনগর সদর সহ আবাদপুকুর, কালীগঞ্জ এলাকায় যেতে প্রায় নির্ধারিত সময় থেকে তিন গুন বেশি সময় লাগছে।

এছাড়াও ব্রীজ-কালর্ভাট তৈরী করার জন্য যেখানে যেখানে রাস্তা করা হয়েছে সেটা একে বারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। নির্মানাধীন রাস্তায় খানা-খন্দকে ভরে যাওয়ায় প্রতিটি যানবাহন চলছে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে এতে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছেই। এলাকার পূর্বা ল থেকে রাণীনগর এবং জেলা সদরে ব্যবসার জন্য ধান,চাল,সারসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন,চিকিৎসা নিতে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পরেছে ফলে চরম দূর্ভোগে পরেছেন এলাকার লাখো মানুষ।

নওগাঁ জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, রাণীনগর-কালীগঞ্জ রাস্তার কাজ শেষ করতে আগামী  ৮ মে প্রর্যন্ত সময় ছিল কিন্তু পাথরের সংকটের জন্য ঠিকাদার কাজ করতে পারছেনা আর যেখানে গর্ত হয়েছে সেই গর্ত গুলো খোয়া দিয়ে পরবর্তিতে ভরাট করে দেওয়া হবে। তবে ব্রীজের বিকল্প রাস্তা গুলো ঠিক করে দেওয়ার জন্য বলেছি।