কুড়িগ্রামের রৌমারী বালু খেকো সিন্ডিকেটের ছোবলে দিশেহারা নদের কুলঘেষা মানুষ গুলো


মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারীতে বিপদগামী কয়েকটি সিন্ডিকেট অবৈধ পন্থায় বালু উত্তোলনে মেতে উঠেছে। সরকারের নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নদী ও নদীর উপকূলে জেগে উঠা ভূমি থেকে ড্রেজার ও বেকু দিয়ে রাতদিন বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে বাস্তভিটা ও জমি-জিরাত হারিয়ে পথের ভিখারী হয়েছে অনেকেই। বালু খেকো সিন্ডিকেটের শক্তির কাছে অসহায় হয়ে নিরব দৃষ্টিতে চেয়ে দেখছে শুধু।

জেলা থেকে ১৫টি নদ-নদী দ্বাড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রৌমারী উপজেলা। সৃষ্টির লগ্ন থেকে জিনজিরাম, সোনাভরি, হলহলিয়া ও ব্রম্মপুত্র নদের কড়াল গ্রাসে রৌমারী উপজেলাটি নদী গর্ভে বিলীনের পথে। প্রতিবছর ভাঙ্গনের তান্ডবে নদী কূলীয় মানুষ গুলো ভিটে-মাটি ও ফসলী জমি হারিয়ে,রাস্তার পাশ্বে, কেহ অন্যের বাড়িতে, কেহ শহরের কোন অলি-গলিতে ঝুপড়ি বেঁেধ মানবেতর জীবন যাপন করছে।

কালের আবর্তে ব্রম্মপুত্রের নাব্যতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর কুলে চর পড়ছে। এমন সুযোগ লুডে নিচ্ছে অবৈধ বালু খেকো সিন্ডিকেটটি। চরের বুকে বেকু দিয়ে ও নদীর মাঝে ড্রেজার বসিয়ে দিধারছে বালু উত্তেআলন করে ট্রাক্টর বা কাকড়া গাড়ি দিয়ে মাটি বিক্রি করছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।

এসব বালু খেকো সিন্ডিকেটের কারণে চরের স্থায়িত্ব ও মাটি জমাট বাধতে পারছেনা। কে শোনে ভূমিহীন গৃহ হারা মানুষের আহাজারি। এনিয়ে পত্র পত্রিকায় বার বার সংবাদ প্রকাশ ও প্রশাসন বরাবর রিখিত অভিযোগ দিলেও তা যেন রহস্যজনক কারণে নীরবতার সামিল। সিন্ডিকেটটি কয়েকটি চক্রে বিভক্ত হয়ে উপজেলার উত্তরে সাহেবের আলগা হতে যাদুর চরের কাটিয়ামারী কোমর ভাঙ্গি পর্যন্ত নদী কূলীয় নতুন পলি পরা চরাঞ্চলে চলছে বালু খেকোদের তান্ডব। এযেন কোন ভাবেই থামছেনা।

তবে বালু খেকোদের ভয়াল থাবায় অসহায় নদী ভাঙ্গা ভূমিহীন বাস্তহারা মানুষ গুলোর মধ্যে শমেস আলী, আব্দুস সবুর, তারিকুল, রমজান, জলিল, ময়নাল,কাসেম অভিযোগ করে বলেন, ড্রেজার ও বেকু দিয়ে যে ভাবে নদী ও নদী কূলীয় চর থেকে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে , তাতে আগামী বর্ষা মৌসুমে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে অতি সহজে বানের পানি প্রবেশ করে নতুন ক্যানেল তৈয়ারী করবে ও সহজে গ্রাম গঞ্জে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হবে। তাই এলাকার মানুষের প্রাণের দাবী প্রশাসনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে অবৈধ ড্রেজারে মাটি উত্তোলন বন্ধ করা হউক।

এবিষয় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম, সারওয়ার রাব্বী ভারপ্রাপ্ত বলেন এতিপূর্বে ৩ বার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে অভিযান অব্যাহত থাকবেন বলে সাংবাদিকদের জানায়।