চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর মঙ্গলবার থেকে চালু হচ্ছে


ফয়সাল আজম অপু: ভারতের মোহদীপুর রপ্তানীকারক এ্যাসোসিয়েশনের আগ্রহে মঙ্গলবার থেকে আবারো চালু হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ। করোনার কারণে দীর্ঘ ২ মাস ৭ দিন বন্ধ থাকার পর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানী রপ্তানী শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সোনামসজিদ কাষ্টমস এর সহকারী কমিশনার মো: সাইফুর রহমান। 

তিনি জানান, ২৫ মার্চ সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় পন্য আমদানী ও রপ্তানী। পরে সীমিত আকারে ১৫ এপ্রিল থেকে অফিস চালুর সরকারী সিদ্ধান্তের পর থেকেই বন্দর কার্যক্রম চালুর চেষ্টা হলেও ভারতীয় কতৃপক্ষের অনীহার কারনে সে সময় বন্দর চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে ৩১ মে ভারতীয় রপ্তানীকারক এ্যাসেসিয়েশনের এক বার্তার প্রেক্ষিতে আশা করা হচ্ছে মঙ্গলবার থেকে ভারতীয় পন্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। 

এদিকে সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাঈনুল ইসলাম জানান, আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে বন্দর চালুর জন্য গত ১৫ এপ্রিল থেকেই প্রস্তুত আছি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পন্য দিলে পানামা কর্তৃপক্ষ করোনার সর্বোচ্চ সর্তকর্তা বজায় রেখে বন্দর পরিচালনা করবে। ৩১ মে রাতে ভারতীয় রপ্তানীকারক এ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১ জুন থেকে বাংলাদেশে এ বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানীর আগ্রহ দেখানো হয়। যার অনুলিপি মালদা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, সোনামসজিদ স্থলবন্দর সি এ্যান্ড এফ এজেন্ট এবং আমদানী-রপ্তানীকারক গ্রুপ এ্যাসোসিয়েশন সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কাছে পাঠানো হয়। 

এ ব্যাপারে ভারতের মহদীপুর সি এ্যান্ড এফ এজেন্ট সাধারন সম্পাদক ভূপতি জানান, গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বন্দর দিয়ে আমদানী রপ্তানীর শুরুর অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি দেয়ার পর ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে অনুমতি চাইতে গেলে করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউন থাকায় অনুমতি মিলেনি।তবে এবার মঙ্গলবার থেকে তারা বাংলাদেশে পন্য রপ্তানী করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন। 

প্রসঙ্গত” ২৫ মার্চ লকডাউনের পর ১৫ এপ্রিল সরকার বন্দরের কার্যক্রম সীমিত আকারে চালুর ঘোষণার সময় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পন্য আমদানী করতে গিয়ে মালদা ডিসিট্রক্ট ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি না পাওয়ায় আমদানী রপ্তানী শুরু করতে পারেনি। 

এতে করে ভারতের মোহদীপুর স্থলবন্দরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকে পড়ে পিঁয়াজ সহ সাড়ে ৩ হাজার ট্রাক। পরে ৩১ মে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আবারো পণ্য রপ্তানীর আগ্রহ দেখিয়ে বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানী ও রপ্তানীকারক এ্যাসোসিয়েশনকে একটি চিঠি দেয়।