তানোরে ন্যায় বিচার পেলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি পিযুস কুমার


তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপির ৪নং শ্রীখন্ডা ওয়ার্ডের মাঝিপাড়া গ্রামে রাস্তার ধারে ভিটা মাটি নিয়ে  ৪নং ওয়ার্ড শ্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পিযুস কুমার ও একই ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারণ সস্পাদক দুলাল কুমারের বিরোধের অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানাগেছে, বিবাদী দুলাল কুমারের বাড়ির সাথে লাগুয়া পিযুস কুমারের জায়গা ছিলো, যা রাস্তা হিসেবে মানুষ ব্যবহার করতো, কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে দুলাল কুমারের জায়গা না থাকায় রাস্তার পাশে পিযুস কুমারের জায়গায় জোর পূর্বক  দখল করে চাল নির্মান করে দুলাল কুমার। দুলাল কুমার তার চাল তোলা জায়গা সরকারী বলে বার বার দাবি করে। তবে সেখানে কোনো সরকারী সম্পত্তি নাই বলে জানা যায়। গত ২ অক্টোবর জমি মাপযোগ করে সিমানা নির্ধারন করে দেখা যায় জায়গাটি বাদী পিযুস কুমারের তবে মাপযোগের সময় রাগের বশবর্তী হয়ে পিযুস কুমারের উপর হামলা চালাই দুলাল কুমার।
আজ ৪ অক্টোবর বুধবার, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ও হামলা ঘটনার অভিযোগের নিষ্পত্তি করেন কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মো ফজলে রাব্বী মিঞা বলে জানা গেছে। জানাগেছে, হামলার কথা শিকার করে বিবাদী দুলাল কুমার বলেন রাগের বশবর্তী হয়ে গায়ে হাত তোলা আমার ঠিক হয় নি এ বিষয়ে আমি ক্ষমা প্রার্থী। দখল কৃত জায়গাটি আমার বাড়ির লাগুয়া, জায়গাটি পিযুসের, তবে উঠানের জায়গা না থাকায় আমি দখল করে ভুল করেছি। জায়গাটি আমার অতিব প্রয়োজন জাগয়ার মালিক পিযুস সহ একাধিক থাকায় সবার সাথে কথা বলে বৈধ ভাবে জায়গাটি নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। পিযুস কুমার ও আমার (দুলাল কুমারের) মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা তা মিমাংসা করে দিয়েছেন।
এঘটনায় বাদি পিযুস কুমার বলেন, দুলাল কুমার বার বার আমার দাদুর নামে রেকর্ডভুক্ত সম্পত্তিকে সরকারী বলে দাবি করে দখল করে, কিন্তু সেখানে কোনো সরকারী সম্পত্তি নাই। গায়ের জোরে চালা নির্মান করে। মাপযোগ ও সিমানা নির্ধারণ করার পরে আজ গ্রাম আদালতে জায়গাটি আমার(পিযুস কুমারের) বলে স্বীকার করে দুলাল কুমার।
প্রসঙ্গত, গত ০২ অক্টোবর সমবার বেলা ১টার দিকে এমন ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে দুলাল কুমার মাঝিপাড়া টু দমদমা রাস্তার ধারে জোর পূর্বক পিযুস কুমারের নিজস্ব সম্পত্তিতে চাল তুলে দখলে নেন, পিযুস বারন করলে তাকে দুলাল কুমার দাম্ভিকতা দেখায়, পরে পিযুস কুমার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার নিকট ন্যায় বিচারের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি নিষ্পত্তির জন্য উপজেলা প্রশাসন গ্রাম আদালতে প্রেরণ করেন। গ্রাম আদালত বিষয়টি নিয়ে গ্রামে বসে সিমানা নির্ধারণ করতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ০৪নং ওয়ার্ডের সদস্য শরিফুল ইসলাম রাজা কে দায়িত্ব দেয়।
০২ অক্টোবর সমবার বেলা ১টার দিকে জমি মাপযোগ চলাকালীন সময়ে উত্তেজিত অবস্থায় স্থানীয় মেম্বার সহ জমিমাপের দায়িত্বে থাকা গন্যমান্য সকলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও দাম্ভিকতা দেখান দুলাল কুমার। সাথে সাথে বাদি পিযুস কুমারকে বাগে পেয়ে লাথি, ঘুসি, কিল মারতে থাকে পরক্ষণে দেশিও অস্ত্র হাসুয়া হাতে হত্যার উদ্দেশ্যে পিযুসের দিকে এগিয়ে আসে তৎক্ষণাৎ গ্রাম পুলিশ দুলালের হাত থেকে হাসুয়া কেড়ে নেন বলে জানা যায়।