তানোর বরেন্দ্র অফিস থেকে মটর পাম্পের তার চুরি 


তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর বরেন্দ্র অফিস থেকে দুটি মটর পাম্পের প্রায় ৫শ ফিট দামী তার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এমন চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার দিবাগত রাতে। এঘটনায় বরেন্দ্র অফিস জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে সমালোচনার ঝড়। অন্যদিকে তার চুরির ঘটনায় কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করেননি বরেন্দ্র অফিসের সহকারী প্রকৌশলী।
এতে করে তার চুরির ঘটনায় বরেন্দ্র অফিসের সহকারী প্রকৌশলী কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় অভিযোগের তীর উঠেছে প্রকৌশলী ও মেকানিক এবং মটর পাম্প মিস্তীর দিকে। সরেজমিনে বরেন্দ্র অফিসে গিয়ে সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে গোপন সূত্রে জানা গেছে, বাঁধাইড় ইউনিয়নের দুটি মটর পাম্প নষ্ট হওয়ায় মেরামতের জন্য বরেন্দ্র অফিসে আনা হয়।
কিন্তু মটর পাম্প মেরামতের আগেই অফিস থেকে মটর পাম্পের তার গুলো চুরি হয়ে যায়। ফলে জনসাধারণের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, এতদিন কত কর্মকর্তা আসলো আর গেলো অফিস থেকে কোনদিন কিছু চুরি হলনা আর এই প্রকৌশলী আসার পর থেকে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটতেই আছে। সম্প্রতি এই কর্মকর্তা কামরুজ্জামান আসার পর থেকে বরেন্দ্র অফিসের রোপণকৃত বিশাল বিশাল বিভিন্ন রকমের গাছ টেন্ডার ছাড়াই চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। যা বিভিন্ন জাতীয় স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে টনক নড়ে উদ্ধোর্তন কৃর্তপক্ষের। বন্ধ হয় গাছ কাঁটাকাটি।
শুধু তাই না, বিকল হওয়া গভীর নলকূপের রিবরিং করার জন্য ডিপ অপারেটরদের কাছে থেকে ১লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ করে টাকা নিচ্ছেন। যারা টাকা দিতে পারছেন না তাদের নলকূপের রিবরিং করা হচ্ছেনা। যার জন্য অনেক গভীর নলকূপ বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মেকানিক জানান, অতীতে অনেক কর্মকর্তা এ অফিসে এসেছে। কিন্তু এরকম বাজে কর্মকর্তা কোনদিন দেখিনি আমরা। তিনি অফিসে যোগদানের পর থেকে অফিস টাকে চোরের কারখানায় পরিনত করেছেন।
যদি তাকে দ্রুত বদলি করা না হয় তাহলে এ অফিসের দুর্নামের শেষ থাকবেনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবিষয়ে বরেন্দ্র অফিসের সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার চুরির ঘটনা স্বীকার করে বলেন,এবিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হবে।