পুঠিয়ায় বারনই নদীতে সেচের এলএলপিগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিএমডিএ চেয়ারম্যানের পরিদর্শন


পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় বারনই ও ফকিন্নী নদীর বাগমারা উপজেলা অংশে বাঁধ নির্মাণ পূর্বক পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহী কর্তৃক নদী পুনঃখনন কাজ চলছে। সেই বাঁধের কারণে বারনই নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় এলাকার কৃষকরা তাদের বোর ধানের জমিতে সেচ দিতে না পারাই জমি ফেটে গেছে।

এই এলাকার শত শত কৃষকরা দূচিন্তায় দিন যাপন করছে। খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যা সমধান করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএমডিএর তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান, রাজশাহী রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী শমসের আলী, পুঠিয়া জোনের সহকারী প্রকৌশলী, আল-মামুনুর রশিদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী খান জাফরুল মেহেদী মাহমুদ, শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল সহ অনেকে।

উল্লেখ্য যে, নদী খননকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বারনই নদীর তাহেরপুর ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে ১ টি এবং বারনই ও ফকিন্নী নদীর সংযোগস্থালে বাগমারা থানা সংলগ্ন স্থানে ফকিন্নী নদীর আপ স্ট্রীমে ৫-৬ টি মাটির বাঁধ নির্মাণ করেছে। ফলে বারনই নদীর ডাউন স্ট্রীমে পুঠিয়া উপজেলা অংশে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নদীর পানি আশংকাজনক ভাবে কমে গিয়েছে।

পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর নামক স্থানে বারনই নদীর উপর বিএমডিএ কর্তৃক নির্মিত রাবার ড্যামের উজানে সেচের জন্য বিএমডিএ’র ২৪ টি বিদ্যুৎ চালিত এলএলপি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রায় ১৫০ ডিজেল চালিত এলএলপি রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহী কর্তৃক বর্নিতভাবে নদী খননের কারণে নদীর পানি কমে যাওয়ায় প্রায় অধিকাংশ এলএলপিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে প্রায় সবগুলো এলএলপি নদীতে পানির অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

এসব সেচযন্ত্রের আওতায় আবাদকৃত প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল সেচের অভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এতে প্রায় ৩ হাজার জন কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি হতে যাচ্ছে। ক্ষীমভুক্ত কৃষকগণ এহেন পরিস্থিতিতে ফসল বাঁচানোর জন্য অত্র অফিসে বার বার যোগাযোগ করছে। বাগমারা উপজেলায় নদী পুনঃখননের সাইটগুলো পরিদর্শন করে দেখা যায় যে, নদীর বাঁধগুলো কেটে দিয়ে।

আগামী ১৫-২০ দিন যাবৎ নদীর প্রবাহ সচল রাখতে পারলে পরবর্তী ১ মাসের সেচের পানি নদীতে চলে আসবে। এর পরে পুনরায় বাঁধ দিয়ে নদী খনন করার পর আবারও ১৫-২০ দিন পর বাঁধ কেটে নদীতে পানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা চালু রাখলে সেচের জন্য তেমন অসুবিধা হবে না মর্মে নিম্নস্বাক্ষরকারী মনে করেন। তাই কৃষি ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষার্থে বারনই নদীতে সেচের জন্য পানি সরবরাহ সচল রাখার জন্য নদী পুনঃখননকারী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ পূর্বক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মহোদয়কে অনুরোধ জানানো হলো।