সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সারা দেশে বয়ে যাওয়া জৈষ্ঠের প্রচন্ড গরমে সব জায়গায় তাল শাঁসের কদর বেড়েছে। সব বয়সের মানুষের কাছে ফলটি বেশ প্রিয় খাবার হয়েছে। রাস্তার ধারে বা ফুটপাতে বসে থাকা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ক্রেতারা এই ফল কিনতে ভীড় জমাচ্ছেন। তীব্র তাপদাহে একটু স্বস্থি পেতে শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাল শাঁস। মুখরোচক খাবার তালের নরম কচি শাঁস খেতে সুস্বাদু হওয়ায় বর্তমানে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে এই তাল শাঁস।
সিরাজগঞ্জ শহর থেকে শুরু করে ৯ টি উপজেলা সদরের মোড়ে মোড়ে বিক্রেতারা বিক্রি করছেন তালশাঁস। কোন কোন বিক্রেতারা ভ্যানযোগে পাড়া বা মহল্লায় ঘুরে ঘুরে এই তালকুশ বিক্রি করছেন। সলঙ্গা কলেজ মোড়ের তাল শাঁস বিক্রেতা রজব আলী জানান,প্রতি বছর এ সময়ে তাল শাঁস বিক্রি করে ভালোভাবেই সংসার চালাচ্ছি। বৈশাখ মাস থেকে জৈষ্ঠের শেষ পর্যন্ত চলে তাল শাঁস বিক্রি। এবার প্রচন্ড গরম থাকায় তাল শাঁসের চাহিদা বেশী রয়েছে।
প্রকার ভেদে প্রতিটি তাল শাঁসের পিচ বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকায় । কড্ডা মোড়ের আরেক বিক্রেতা রহমান জানান, সৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে স্কুল,কলেজগামী শিক্ষার্থী,পথচারীরা প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্থি পেতে ভীড় করছেন তাল শাঁস বিক্রেতাদের কাছে।
উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের, ইশরাক,মিতু জানায়,তাল শাঁসের দাম এবার একটু বেশী। তবুও মৌসুমী ফল হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিকর, ভেজালমুক্ত ফল বলে নিজেদের খাওয়ার পাশাপাশি পরিবারের ছোটদের জন্য নিয়ে যাচ্ছি।
রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা: বেলাল হোসেন জানান, তাল শাঁস ত্বকের জন্য উপকারি। কচি তালের শাঁসে লিভারের সমস্যা, চুল পড়া রোধে সহায়তা করে। তাল শাঁসে রক্ত শুন্যতা দুরীকরণে দারুন ভুমিকা রাখে। তাল শাঁসে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক ভুমিকা রাখে। তাই মৌসুমী ফল তাল শাঁস উপকারি।