বগুড়ায় করোনায় তিন জনের মৃত্যু


দীপক সরকার, বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার পুলিশের এএসআই ও নারীসহ তিনজন মারা গেছেন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ প্রস্তুত ও যানাজার ব্যবস্থা করেছেন। একজনের মরদেহ সিরাজগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয় ও বাকি দু’জনের মরদেহ দাফন করেন তারা।

বগুড়া টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ (টিএমসি) ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের সহকারি নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আলতাব আলী (৬১) গত ২৮ জুন রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। নমুনা সংগ্রহের পর ৩০ জুন তিনি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বেলা ১২টার দিকে মারা যান।

অপরদিকে রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালামের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুর (১ জুলাই) ১টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত এএসআই  আবুল কালামকে তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ার শেরপুরের বনিকপাড়ার গোরস্থানে দাফন হয়। এসময় বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, ওসি মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবদুল ওয়াদুদ জানান, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচি ইউনিয়নের গণকপাড়ার মাসুদ আলম (৫৪) শহরের জলেশ্বরীতলায় ভাড়া থাকতেন। তিনি ঢাকার বিকন্স নামে এক ডেভেপলার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ছিলেন। গত ২২ জুন তিনি করোনা পজিটিভ হন। ২৮ জুন শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে মারা যান।

এছাড়া বগুড়া সদরের পালশা মধ্যপাড়ার মৃত আজিম উদ্দিনের স্ত্রী রওশন আরা (৬৫) করোনা উপসর্গে আক্রান্ত হলে গত ২৯ জুন শজিমেক হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে নমুনা দেন। পরদিন ৩০ জুন রিপোর্টে তিনি করোনা পজিটিভ হন। বুধবার বেলা ১২টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

তিনি আরও জানান, এ আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে হানিফ কোচের টিকিট মাস্টার নজরুল ইসলাম বুলবুল(৬০) মারা যায়। মৃত ব্যক্তি সোমবার বিকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবদুল ওয়াদুদ  জানান, নজরুল ইসলাম বুলবুল শহরের কাটনারপাড়ার বাসিন্দা। তিনি শহরের সাতমাথায় হানিফ পরিবহনের কোচ কাউন্টারের টিকিট মাস্টার ছিলেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার মরদেহ শহরের নামাজগড় আঞ্জুমান-ই-গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়ার সংগঠক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, করোনাভাইরাসে মৃত তিনজনের মরদেহ প্রস্তুত ও জানাজা করা হয়। পরে আলতাব আলীর মরদেহ সিরাজগঞ্জে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মৃত মাসুদ আলমের মরদেহ সারিয়াকান্দির গ্রামের বাড়িতে ও রওশন আরা মরদেহ পালশা এলাকার গোরস্থানে দাফন করা হয়।